ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় একদিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে ১৩ শিশু আহত

এম.মনছুর আলম, চকরিয়া ::   কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পাগলা কুকুরের কামড়ে একদিনে ১৩ শিশু আহত হয়েছেন। পৌরসভার ২, ৩, ৫ ও ৮নং ওয়ার্ড এলাকায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে। আহতরা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিকে পৌরসভা এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় লোকজন আতঙ্কে রয়েছে।

আহতরা হলেন, চকরিয়া পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এলাকার মো. ইদ্রিছের ছেলে সাজ্জাদ (৮), ৩ নং ওয়ার্ডের বাটাখালী এলাকার আবদুল গণির ছেলে জয়নাল আবেদীন (১২), নুরুল হকের ছেলে সুমন (৭), আকতার আহমদের ছেলে মনজুর আলম (১১), জয়নাল আবেদীনের ছেলে রিপু (১৪), আবুল কালামের মেয়ে তারিন (১৭), মো. জুনাইদের ছেলে আবরার (৪), ৫নং ওয়ার্ড উত্তর কাহারিয়াঘোনা এলাকার মো. হাসানের মেয়ে সিফাত (১০), মনজুর আলমের ছেলে আবুল কাশেম (১৬), মো. জাকারিয়ার ছেলে মো. জিসান (১৭), মনজুর আলমের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (৭), ৮ নং ওয়ার্ড স্টেশনপাড়া এলাকার তানভীরের মেয়ে তাজবি (৬), ফাঁশিয়াখালী এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আহাদ (৮)।

আহত ইয়াছিন আরাফাতের বড় ভাই আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল থেকে পাগলা কুকুরটি আমাদের গ্রামে আসে। বুধবার ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুরা রাস্তায় খেলাধুলা করছে, আবার অনেকে বেড়াতে বের হয়। ওই কুকুরটি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই আমাদের এলাকার ৪ শিশুকে কামড়ায়। আমার ছোট ভাই আরাফাত মায়ের সাথে বেড়াতে যাওয়ার সময় রানে কামড় দিয়ে চলে যায়। এলাকার লোকজন ওই কুকুরটিকে ধাওয়া করছে মেরে ফেলার জন্য।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী চিকিৎসক মো. নিজাম উদ্দিন জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৩ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। হাসপাতালে সরকারীভাবে র্পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় বাইরে থেকে ক্রয় করে ভ্যাকসিন পুশ করা হয়েছে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছে। তবে অধিকাংশ কুকুরের কামড়ে আহত শিশুর পরিবার দরিদ্র হওয়ায় ভ্যাকসিন কিনে পুশ করতে বেগ পেতে হচ্ছে।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, পৌরসভায় কোন ধরনের ভ্যাকসিন নেই। সরকারীভাবে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের আইন থাকলেও তিনি এ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।

 

পাঠকের মতামত: